রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক : বিতর্কের ঝড়ে পড়ে সবাই আঙুল তুললেও ইজরায়েলি পরিচালক নাদাভ লাপিডের পাশে দাঁড়ালেন গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরিবোর্ডের তিন সদস্য। জিঙ্কো গোটাহ্, পাস্কাল শ্যাভান্স এবং জেভিয়ার অ্যাঙ্গুলো বারতুরেন টুইটারে এক বিবৃতিতে জানান, জুরিবোর্ডের সদস্যরা সবাই জানতেন। এবং প্রধান হিসাবে লাপিড যা বলেছেন, তাঁর সঙ্গে তাঁরা একমত।
এর ফলে দলছুট হয়ে গেলেন সুদীপ্ত সেন, যিনি জুরিবোর্ডে থাকা একমাত্র ভারতীয় পরিচালক। সাফ বলেছিলেন, “লাপিড যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ ওঁর নিজস্ব মত।” প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত নিজেও ধর্মান্তরণকে কেন্দ্র করে তোলা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নামে এক ছবির পরিচালক। সেই ছবিকে নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
লাপিড অবশ্য পরে জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশাকে লঘু করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি কেবল, ছবিতে এর উপস্থাপনার দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেছিলেন বলে দাবি করেন। তাঁর এই বক্তব্যে আলোকপাত করেই সমর্থন জানান তিন জুরি।
দিন কয়েক আগেই গোয়ায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ প্রদর্শিত হয়। উৎসবের শেষ দিনে ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া বা ইফি-র জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লাপিড বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবিটির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জানান, এই ধরনের ছবি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়। ছবিটিকে ‘অশ্লীল’ এবং ‘প্রচারমূলক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লাপিডের এ হেন মন্তব্যের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত তাঁর সমালোচনা করে ক্ষমা চেয়ে নেন। ইফি-র তরফে জানানো হয়, লাপিডের মতামত ব্যক্তিগত। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে লাপিড জানিয়েছেন, শুধু তিনি একা নন, জুরি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যেরও ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ ছবিটি নিয়ে একই কথা মনে হয়েছিল।
লাপিড বলেন, ‘‘কাশ্মীরের ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি আমার বিপুল শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি যা বলেছি, তা এই বিষয়ের কথাই নয়। আমি হাজার বার বলতে পারি, আমি কোনও রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক বিষয়ে মন্তব্য করিনি। আমি ছবিটি নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম। আমার মতে, এমন গুরুতর একটি বিষয় আরও গুরুগম্ভীর একটি ছবি দাবি করে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি যা বলেছি, তা মোটেই আমার ব্যক্তিগত মতামত ছিল না। আমাদের সকলেরই ছবিটি দেখে মনে হয়েছে, সেখানে ধারাবাহিক ভাবে ঘটনাগুলিকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে, অশ্লীল এবং হিংসাত্মক বিষয় টেনে আনা হয়েছে। কোনও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হিংসার বীজ বপন করার উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে আমাদের সকলের।’’